এম এ জলিল আকন্দ শশীঃ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনারের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা যখন জানতে পেরেছি তখন থেকেই আমরা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার রয়েছি।
আমরা এ বিষয়টি সর্বশেষ পর্যন্ত দেখে নিতে চাই,এইযে অন্যায় হয়েছে,এইযে হত্যাকান্ড হয়েছে এরকম যাতে আর না ঘটে সেজন্য আইনের মাধ্যমে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
মঙ্গলবার (২০জুন) দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিহত সাংবাদিকের গ্রামের বাড়ি গোমের চরে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
এসময় তিনি বলেন, অপরাধীরা কেউ ছাড়া পাবেনা,তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত মানবাধিকার কমিশন সোচ্চার থাকবে।
যারা সৎ সাংবাদিকতা করেন,যারা জনগণের কথা বলেন তাদের উপর যারা হামলা করার সাহস দেখায়, তারা অন্তত দশবার ভাববেএই অপরাধীদের শাস্তি দেখে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এজাহার ভুক্ত আসামীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে, বাকীরাও দ্রুত গ্রেপ্তার হবে বলে বিশ্বাস করি। আমরা জানি,চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত কিভাবে ইট দিয়ে নাদিমের মাথায় আঘাত করেছে সেই রিফাতসহ যারা এই হামলার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তারা সবাই গ্রেপ্তার হবে।
এই হামলার মাধ্যমে ( নাদিমের পরিবারের ) তাদের যে অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, এই অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হবে,এটা আমিও দাবি করি এবং আমি বিশ্বাস করি সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জানান,আমরা জানি সাগর রুনির মামলায় আবারও সময় চাওয়া হয়েছে, মামলা চলমান আছে, আশা করি ওটার রিপোর্ট আসবে তবে এই ঘটনায় সেরকম কিছু হবেনা বলে বিশ্বাস করি।
এই ঘটনায় যারা অপরাধী তাদের ধরপাকড়ের ক্ষেত্রে সফলতা অনেক বেশি,নাদিম হত্যার ঘটনায় অনেক কিছু স্পষ্ট,সিসিটিভি সহ পরবর্তী অনেক বক্তব্য এবং ঘটনা সুস্পষ্ট,ইতিবাচক সেই ইতিবাচকতার ধারাবাহিকতায় আমি বিশ্বাস করি এখানে বিলম্ব হওয়া বা অস্বস্তিতে থাকার মতো অবস্থা বোধ হয় নেই।
তিনি বলেন,আমি সরকারের সাথে কথা বলেছি,আমি আইনমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি তিনি বলেছেন,এই মামলার বিচার দ্রুত হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন শুরু থেকেই সোচ্চার আছে,সোচ্চার থাকবে এবং বিচার শেষ হওয়া পর্যন্ত সোচ্চার থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,এই মামলা ডিবিতে গেছে,ডিবির কার্যক্রম আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ,আরও গভীর,তাই আপনারা নিশ্চিত থাকুন,এই মামলা আরও দ্রুত এগোবে।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম,মেয়ে জান্নাতুল,দুই ছেলে এবং তার পিতা আ: করিমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদসহ অন্যারা নিহত নাদিমের কবর জিয়ারত করেন।