মোঃ আজিজুল ইসলাম(ইমরান)
(সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি)
মার্কিন ভিসা নীতি কোনো দল বা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ভিসা নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যাপার, তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না সেটা তাদের নিজস্ব এখতিয়ার।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ইনডোর প্লেগ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আসন্ন নির্বাচনের অন্তরায় যারা হবেন, নির্বাচনে যারা বাধাগ্রস্ত করবে এবং নির্বাচন পণ্ড করার চেষ্টা করবেন তাদের জন্য এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। আমরা মনে করি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফ্রিকার কোনো দেশে গিয়ে বলেছিলেন তোমরা যদি উন্নয়ন দেখতে চাও, দেশকে এগিয়ে নিতে চাও তাহলে বাংলাদেশকে ফলো করো, শেখ হাসিনাকে ফলো করো।
নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচন খুবই আসন্ন, এজন্য সব দল তাদের বিভিন্ন দাবি-দাবা নিয়ে আমাদের কাছে আসছে। আমার মনে হয় কিছুদিন পরে জনগণ আনন্দিত হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনটি সংঘটিত করবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি প্রমুখসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ শুরু হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে জানানো হয়। পরে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলারও বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন একটি ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, নির্বাচনে কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন এবং নাগরিক ও গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতায় যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে দেশটি। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।