নেপাল ধরঃ ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা থানা পুলিশের অভিযানে সিএনজি চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেন থানা পুলিশ। মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, যাত্রী সেজে সিএনজি গাড়ীর ড্রাইভারকে অচেতন করে সিএনজি চুরির চেষ্টা এবং পুলিশে সংবাদের মাধ্যমে চেকপোষ্ট বসিয়ে চোর সহ সিএনজি গাড়ি উদ্ধার করা হয়। বুধবার ১৬ আগস্ট জনৈক সিএনজি ড্রাইভার আশিকুর রহমান আশিক (২১) সাং- সত্রাশিয়া, থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ রাত্রি অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় মুক্তাগাছা পৌরসভা মোড় সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করিতে থাকে। অতপর ২জন ব্যক্তি যাত্রী সেজে সিএনজি গাড়ী ভাড়া করে মুক্তাগাছা হইতে ময়মনসিংহ যাইতে থাকে। পথিমধ্যে মুক্তাগাছা থানাধীন নতুনবাজার গরুর হাট পাড় হওয়ার পর আসামী বাদীর ঘাড়ের পিছনে হাত দিয়ে ধরে রাখে এবং বিষ জাতীয় পদার্থ ফু দিয়ে বাদীর দিকে প্রয়োগ করে। বাদী সাথে সাথে দূর্বল হয়ে যায় এবং বাদীর শরীরে কিছুটা ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। বাদী বুঝতে পারে যে, তাহারা সিএনজি গাড়ীটি চুরি করার জন্য বাদীকে জোরপূর্বক ময়মনসিংহের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বাদী মুক্তাগাছা শারীরিক শিক্ষা কলেজের সামনে ১নং সাক্ষী মোঃ মাজিরুল (৩৫) কে দেখিতে পাইয়া ডাক চিৎকার করিয়া বলিলে ১নং সাক্ষী থানায় সংবাদ দিলে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভূঞা পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদয় সার্কেল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহিনুর ইসলাম ফকির, এর নির্দেশক্রমে মনতলা চেকপোষ্টে ডিউটি পার্টিকে অবহিত করা হয়। অতপর সিএনজি গাড়ীটি চেকপোষ্টে পৌছিলে সিগনাল দিয়া থামাইলে সিএনজিতে থাকা ২ জন যাত্রী দৌড়াইয়া পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃ বিপ্লব (৫২), পিতা মৃত- নয়ন মিয়া, মাতা মৃত- হামিদা বেগম সাং- কলেজরোড় হাজীবাড়ী, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহকে আটক করিতে সক্ষম হয়। ধৃত ব্যক্তিকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে না এবং সিএনজি ড্রাইভারকে কিছুটা ঘুম ঘুম শরীরে মুক্তাগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
