শেখ সাদী মাছুমঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে উপমহাদেশের বিখ্যাত পীর ও সুফি সাধক হযরত খাজা মোহাম্মদ ইউনুস আলী রঃ (শাহ্ এনায়েতপুরী) দরবার শরীফে ১১হইতে১৩ জানুয়ারি১৯ইং শুরু হল ১০৪ তম ওরস শরীফ,জানা যায় উক্ত ওরস মাহফিলে দেশ বিদেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত মুরিদান অংশ গ্রহন করবেন।
হযরত এনায়েতপুরী (রঃ) সংক্ষেপ্ত
জীবনী
হযরত খাজা মোহাম্মদ ইউনুস আলী ১০সেপ্টম্বর১৮৮৬ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার
বেলকুচি উপজেলার এনায়েতপুরে
জন্ম গ্রহন করেন।পিতার নাম শাহ সুফী মৌলানা আবদুল করিম রঃ।তিনি ছিলেন
একজন বিখ্যাত সুফী সাধক, মাথা তামান্না বেগম রঃ ,খাজাএনায়েতপুরী ২ ভাই,১ বোন সবার মাঝে তিনি বড় ছিলেন।১৭/১৮ বৎসর বয়সে তিনি কলকাতার বিখ্যাত পীর,মুর্শেদ হযরত শাহ্ সুুুফি সৈয়দ ওয়াজেদ আলী রঃ নিকট দীর্ঘ কাল খেদমতে থেকে সৈয়দ হুজুরের ২৪ লক্ষ মুরিদানের মধ্যে শীর্ষস্হান অধিকার করে তরিকতের সর্বোচ্চ খিলাফত লাভ করেন । পীর সাহেব হুজুরের আদেশে নকশেবন্দী,মুুুজাদ্দেদী তরিকা নামে ইসলামের মর্ম বাণী প্রচার করেন।এবং এনায়েতপুর দরবার শরীফে ১৯১৫ সালে প্রথম ওরস শরীফ উদযাপন করেন । পর থেকে এনায়েতপুরী পীর সাহেব
বলেই বেশি পরিচিত লাভ করেন ,খাজা
এনায়েতপুরী ভোগবিলাসী জীবনযাপনের
চরম বিরোধী ছিলেন। তিনি ইসলামের
মর্মবাণী-তরিকত দর্শন প্রচারের পাশাপাশি
সমাজসেবা মুলক কাজেও রেখেছিলেন অনন্য
অবদান। খাজা এনায়েতপুরী কে ভক্তবৃন্দ
সুলতানুল আউলিয়া এবং চিরস্থায়ী সংস্কারের জন্য
আখেরী মুজাদ্দেদ বলে অভিহত করেন। তিনি
১৯৫২ সালে ইন্তেকাল করেন।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত ধর্মীয়
নেতা,ওলিয়ে-কামেল সিরাজগঞ্জের হযরত শাহ্
সুফি খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (র.) ইসলাম
প্রচারে এক অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন, তিনি তার কর্মময় জীবনের মাধ্যমে সুফীবাদকে সমগ্র বাংলা
এবং ভারতের আসামে প্রতিষ্ঠিত করে
গেছেন। এজন্য তার দেখানো মানবতার দর্শন
ও ইসলাম প্রচারে সাড়া দেশ তথা ভারতের
আসামে ১২শ পীর আওলীয়া খলীফা রেখে যান।
তিনি ৮ কন্যা এবং ৫ পুত্র সন্তানের পিতা ছিলেন
পরবর্তীতে সমগ্র বাংলাদেশ,আসামে,
ফরিদপুরের সদরের প্রখ্যাত
আটরশি পীরসাহেব,চন্দ্রপাড়া পীরসাহেব,ময়মনসিংহের
শম্ভুগঞ্জ লালকুঠি দরবার শরীফের পীর সাহেব , টাঙ্গাইল প্যারাডাইস পাড়াপীর সাহেব, ,কুমিল্লার
ইসলামাবাদ,মাতুয়াইল,জামালপুরের সাধুরপাড়া
মোসলেম নগর,যশোরের ঘুনী দরবার
শরীফ,ভারতের আসামের মেহেদীবাগ গণি
খলিফার দরবার শরীফ অন্যতম। তারা একইভাবে
খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রঃ) সুফী
বাদের আদর্শ ও ইসলাম প্রচার করছেন। একজন
পরিপূর্ণ মানবতাবাদী হিসেবে তিনি সারাটা জীবন
অসহায় দুঃখী মানুষদের নিজের হাতে
সহযোগীতা করে গেছেন। বাংলা ১৩৫৪ সনে
নিজ দরবারে বিনামুল্যে চিকিৎসার জন্য “খাজা দাতব্য
চিকিৎসালয়” নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে
তোলেন। বিনা পয়সায় সেবা দিয়ে যাওয়া আধুনিক
চিকিৎসার এই প্রতিষ্ঠানটি দেশ-বিদেশ থেকে
আগত লাখো জাকের ও এলাকাবাসীর মাঝে
৭০ বৎসর যাবত পরিচালিত হচ্ছে,
এনায়েতপুরী (রঃ) ছেলে
বর্তমান গদ্দিনশীন হুজুরে পাক কামাল
উদ্দিন নুহু মিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করে ইসলামের
শান্তির মর্মবাণী প্রচারে বাবার মতই কাজ
করে যাচ্ছছেন। এবং পূর্বের ন্যায় এবার ও তিনি বাবার আদের্শে ১০৪ তম ওরস শরীফের আয়োজন করছেন।