স্টাফ রিপোর্টার: আপন শ্যালিকাকে বোনের অসুস্থ্যতার মিথ্যা সংবাদ দিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে একটি বস্তিতে নিয়ে ধর্ষণ করায় ছেলের জুতার পিটুনি খেয়েছে ধর্ষক পিতা আ: আউয়াল। এ ব্যাপারে কোতোয়ালাী থানা লিখিত অভিযোগ পেয়ে ধর্ষক আউয়ালকে গাজীপুর বর্ষা সিনেমা হলের সামনে থেকে আটক করেছে গতকাল।
সুত্র জানায়, মধ্য বাড়েড়ার একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে তার বোন জামাই আউয়াল বড়বোন অসুস্থ্য এবং হাসপাতালে ভর্তি আছে জানিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ভাঙ্গাটি বর্ষা সিনেমা হলের পিছনে সেলিমের বস্তিতে নিয়ে বুধবার ১৭/৭/১৯ইং সারা রাত ভর ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিলে ওসি মাহমুদুল ইসলামের নির্দেশে ওসি তদন্ত খন্দকার শাকের আহাম্মদ ও এসআই মাহবুব রশিদ ধর্ষকের অবস্থান মোবাইল টেকিং করে নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযানে নামে। ধর্ষক আউয়ালের স্ত্রী নেশাখোর স্বামীর অত্যাচারে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে ছেলে নিয়ে দিনযাপন করছিলেন। আউয়ালের বাড়ী ফুলবাড়ীয়ার ছনকান্দা গ্রামে এবং সেই বাড়ী ডলার বাড়ী হিসেবে পরিচিত। তার পিতার নাম মৃত হাইম উদ্দিন। এদিকে ওসি তদন্ত ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য তাকে সনাক্ত করতে তার স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুর বর্ষা সিনেমা হলের সামনে গেলে ধর্ষক একটি দোকান থেকে বের হয়ে আসে। পরে ওসি তদন্ত ও এসআই তাকে জাপটে ধরে আটক করে ধর্ষিতাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে।
পরে বর্ষা সিনেমা হলের পিছনে সেলিমের বস্তির একটি মাটির ঘর থেকে
৬ষ্ঠ শ্রেণীর ধর্ষিতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ সময় ধর্ষকের ৮/১০বছর বয়স্ক ছেলে তার পিতা আউয়ালকে সবার সামনে জুতা দিয়ে পিটিয়েছে। গতকাল ধষিতার মেডিকেল টেষ্ট এবং ২২ ধারায় জবানবন্ধী গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান,ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
