মোঃ আব্দুল লতিফ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) থেকে
বীর আহাম্মদপুর গ্রামের,(চকপাড়া) ৪ নং মাওহা ইউনিয়নের মোছাঃ হালিমা বেগম(৮০) স্বামীঃ মৃত শহর আলী, পিতা মৃতঃ ঈমান আলী, মাতাঃ মৃত কলম জান। উক্ত অসহায় হালিমার ( ৮০) ভাগ্যে জোটেনি বিধবা, বয়স্ক ভাতা বা সরকারি ঘর। এক ছেলে এবং এক মেয়ে থাকলেও কেউ খোঁজ রাখেননি তার। স্বামীকে হারিয়েছেন ত্রিশ বছর পূর্বে। হালিমা জানান, তার কোন অর্থ সম্পদ না থাকায় ছেলে বিয়ে করে আলাদাভাবে কোথায় সংসার করছেন তাও জানেন না। তার কোন বাড়ীঘর নেই, এলাকার বিভিন্ন জনের বাড়ীতে থাকেন, তার সারা জীবনের কামাইয়ের টাকা দিয়ে মাত্র দুই শতক জমি ক্রয় করেছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর মানুষের বাড়ীতে গৃহকর্মীর কাজ করে দিনাতিপাত করছিলেন। তিনি এখন বয়সের কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,কথা বললে শরীর কাঁপে, কাজকর্ম করার মত শক্তি ওনার নেই, মানুষের কাছে চেয়ে খেতেও চান না,রোযা সময় প্রায় দিন সেহরি না খেয়ে রোযা করছেন, সরকারী কোন সহায়তাও পান নি তিনি, এক পর্যায়ে আমাদেরকে বৃদ্ধা হালিমা জানিয়েছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে একটি ঘর এবং বয়স্ক ভাতার আবেদন করেছিলেন কিন্তু পাননি। এহেন অবস্থার প্রেক্ষিতে হালিমা বলেন মারা যাওয়ার আগে সরকার যদি একটি ঘর এবং বয়স্ক ভাতা দিতেন,তা হলে জিবনের শেষে এসে একটু শান্তিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে পারতাম,হালিমা বলেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন তিনি তো অসহায় গরীবের দরদী মমতাময়ী আমাদের মা।
