শেখ সাদী মাছুমঃ ইমামে রব্বানি কাইয়্যুমেজ্জামানী মাহ্ বুবে সুবহানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী ফারুকী (রহ) ৯৭১হিজরী মোতাবেক ১৫৬১খ্রিস্টাব্দে ২৬ শে জুন রোজ শুক্রবার সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে ভারতের পাঞ্জাবের সিরহিন্দি শহরে খাতনাকৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হযরত মাখদুম শেখ আব্দুল আহাদ( রহঃ) তিনি ছিলেন একজন কামেল বুজুর্গ,মাথা ছিলেন একজন শ্রেষ্ঠ আবেদাহ্ হযরত মুজাদ্দিদ সাহেব পিতৃকুল থেকে আমিরুল মুমিনীন হযরত ওমর ফারুক(রাঃ)এর বংশধর এজন্য তাকে ফারুকী বলা হয়।মাতৃকুল থেকে তিনি হযরত ইমাম হুসাইন( রাঃ) বংশধর এদিক থেকে তিনি আওলাদে রাসুল। রউজাতুল ক্বাইয়ুমিয়া কিতাবে বর্ণিত আছে হযরত ইমামে রাব্বানী মুজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) জন্মের পর বুজুর্গ পিতা দেখতে পান( কাশফে) যে হযরত নবী করিম (সাঃ) এবং আম্বিয়া কেরাম তার দুই কানে আযান ও তাকবীর দিলেন এবং তার উচ্চ মাকামের কথা ঘোষণা করলেন। একদিন হযরত গাউসে আজম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি মোরাকাবায় মশগুল ছিলেন, হঠাৎ আসমান হতে একটি নূরের প্রকাশ ঘটল এবং তার নূরের জ্যোতিতে সমগ্র বিশ্ব আলোকিত হয়ে উঠল। অতঃপর হযরত গাউছে আজম (রহ)কে অবহিত করা হলো যে এখন থেকে পাঁচ শত বৎসর পর পৃথিবীতে যখন শিরক ও বেদয়াত ছড়িয়ে পড়বে তখন একজন অলীয়ে বরহক উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে পয়দা হয়ে শিরক ও বিদাআত বিনাশ করবেন এবং দ্বীনে মুহাম্মদীকে সঞ্জীবিত করে তুলবেন। তার সোহবত কিমিয়া সদৃশ হবে এবং তার সাহেবজাদা গণ খলিফাগন উত্তমরূপে দ্বীনের খেদমতে আঞ্জাম দিবেন অতঃপর গাউস আজম ( রহ) নিজের খাছখিরকা মোবারক কামালাত ভরপুর করে তার সাহেবজাদা সাইয়্যিদ তাজুদ্দিন আব্দুর রাজ্জাককে( রহ) অসিয়ত করেন যখন ঐ বুজুর্গ জুহুর হবে তখন আমার খিরকা তাঁকে সোপর্দ করবে। সেই সময় থেকে খিরকা মোবারক হস্তান্তরিত হযরত গাউছে আজম রহমতুল্লাহির দৌহিত্র সাইয়্যেদ শাহ্ সেকেন্দার (রহ) নিকট আমানত ছিল। তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি নিকট এই বরকতময় খিরকা মুবারক সোপর্দ করেন। সূত্রঃ হযরত মুজাদ্দেদ আলফেসানী (র) জীবনী।
চলবে