সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া নেত্রকোনা।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে সোমবার দুপুরে তৃতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই ছাত্রের নাম মোশারফ (১১), তার বাবার নাম আব্দুস সালাম। সে মাসকা ইউনিয়নের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র ছিল। পরিবারের সদস্যদের উদৃতি দিয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মোশারফ নিজ বাড়ীর ঘরের আড়ার সঙ্গে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। গত রোববার সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটালে পরিবারের সদস্যরা তাকে সেখান থেকে নামিয়ে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান (খুকু মনি) বলেন, মোশারফের মা তাকে জানিয়েছেন সন্ধ্যার আগে মোশারফ বিলে মাছ ধরতে রওয়ানা হয়। এসময় তার মা তাকে বলে আকাশের অবস্থা ভাল না, হঠাৎ বজ্রপাত হতে পারে তাই মাছ ধরতে যাওয়ার দরকার নেই। মাছ ধরতে মানা করায় পরিবারের সকলের অজান্তে সে ঘরের আড়ার সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার মা তাকে দেখতে পেয়ে সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ছেলেটিও একগুয়েমি প্রকৃতির জেদি ছিল বলে তার মা বাবা তাকে জানায়। এই মৃত্যুর ব্যাপারে মা বাবা সহ কারো কোন অভিযোগ নেই। কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
