গৌরীপুর ময়মনসিংহ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল লতিফ: এবার শীতের শুরুতেই ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলেছে, শীত বাড়ছে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রা।এতে অচল হয়ে যাচ্ছে জন জীবন, শীতের ফুরফুরা ইমেজ এ বছর শুরুতেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া গত ৩ দিন যাবত শীতের তীব্রতার পূর্বাভাস জানাচ্ছে প্রকৃতি। এ বছর শীতের শুরু হতে না হতেই ধেয়ে আসছে শৈতপ্রবাহ ঘন কুয়াশা, হিম শীতল বাতাস। সারা দিনে একবারও মিলছেনা সূর্য্যের দেখা। সহজে কেউ বিছানা ছাড়ছে না সঙ্গী করে নিয়েছে লেপ, কম্বল ও কাঁথাকে। শুন্য হয়ে আছে রাস্তা- ঘাট। ভারী যান ছাড়া তেমন কোন যান চলাচল খুব একটা চোখে পড়ছে না। চলা ফেরায় বয়স্ক মানুষের দেখা মিলছে কম। যুবকদের দেখা মিললেও আপাদামস্তক পেকেট চোখ ছাড়া কোন কিছু দেখার উপায় নেই। যে যানযট নিরসন করতে পারেনি প্রশাসন আর আজ ৩ দিন যাবত প্রকৃতি তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে শহর করেছে যানযট মুক্ত। রিক্সা আর মটরবাইকের যন্ত্রনায় রাস্তা-ঘাটে চলা ফেরা যেখানে মুসকিল ছিল শীতের দাপটে বাইকাররা সব হারিয়ে গেছে রিক্সাও বেশি একটা চোখে পড়ে না। ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় রাত ৮টা বাজার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দোকানপাট। দোকানীরাও আগাগোড়া চাদুর মুড়ি দিয়ে যবুথবু অবস্থায় বসে থাকে। সূর্য্য না উঠায় সারা দিন বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে জালিয়ে রাখতে হচ্ছে বৈদ্যুতিক বাতি। প্রচন্ড শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ঝুঁকি হয়ে পড়েছে। হঠাৎ ঝেঁকে আসা শীতে প্রচন্ড কষ্টে পড়েছে দরীদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ। কিছু দরিদ্র ছিন্নমূলদের সাথে কথা বললে তারা জানায় এ ভাবে শীতের প্রকৌপ বাড়তে থাকলে ঠান্ডা জনিত রোগে মরতে হবে। তাই সরকারী ভাবে শীত বস্ত্র চাচ্ছে দরীদ্রপীড়িতরা।
