আরিফরাববানী:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল কে ঘিরে নেতাকর্মীরা সরব হয়ে উঠেছে। সর্বত্র একই আলোচনা কে হচ্ছেন ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এক্ষেত্রে তৃর্ণমূলনেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সফল সভাপতি, ত্রিশাল পৌর সভার দুইবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস ।
এবিএম আনিসুজ্জামান সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের,যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে,। বর্তমানে তিনি ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর জনপ্রিয়তায় সভা-সেমিনারে সহকর্মী, যুবক, যুবতী, ধর্মীয় নেতা, সাধারন জনতা, শ্রমিক নেতা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে মানুষের ঢল নামে। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলের ভাবমূর্তি কে দলকে এগিয়ে নিয়ে সাধারণ জনগনের কাছে দলের কর্মকান্ড তুলে ধরে ত্রিশালে জনসেবা করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস কে ত্রিশালের তৃর্ণমুল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মিরা এবং সাধারণ জনগণ দেখতে চায়।
মেয়র বলেন, আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতা-কর্মী ও দুঃখী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষকে সেবা করা, মানুষের জন্য বেঁচে থাকা। আমার সবটুকু সামর্থ্য আর আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি নিয়ে আমি নেতাকর্মীসহ সব মানুষের পাশে থাকতে চাই। দেশ ও আওয়ামী লীগের জন্য নিজের সব উৎসর্গ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, দেওয়ার মতো কিছুই নেই আমার, আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্রু,আর ঘাম। এটাই আমার নীতি, আর যদি প্রশ্ন করেন আমার ল্য কি? আমি পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করি, রাজনীতিকে আমি অঙ্গীকার হিসেবে নিয়েছি। আমার একাডেমীক ক্যারিয়ার, এই বিশাল দলের কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। জীবনে মানুষের স্বপ্ন থাকে।আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে স্বপ্ন দেখে আসছি। সমাজের অন্যায় অবিচার কুসংস্কার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সমাজকে নতুন দিক নির্দেশনা দেওয়া। সে আলোকে আমি গড়ে উঠেছি। মতা তাদেরকেই দূষিত করতে পারে, যারা দূষণ যোগ্য। মতা কেবল অন্তরালকে সম্মুখে এনে দেয়। মতা নিরপে। সৎ লোকের হাতে মতা আশীর্বাদ স্বরূপ, অনেকটা বৃষ্টি হলে আগাছার ফুলের যেমন বাড়তে থাকে, মতা লোভী লোকেরা মানসিকভাবে বিপর্য মতার অপব্যবহার তখনই যখন করে । প্রত্যাশা নোংরা হয়ে যায়। বিশ্বাসঘাতক ও প্রতারক লোকেরাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজের মাধ্যমে দুর্নীতি ডেকে আনে । আন্তরিক নেতা শুধু বর্তমান বিষয় নিয়ে ভাবে না, আগামীকাল তথা পরবর্তী সময়ের কথা ভাবেন। এ ধরনের নেতৃত্ব ইতিহাসের গতি পরিবর্তন করে থাকে। আমি সেই দুষিত রাজনীতিবিদদের হাত থেকে দলকে রক্ষা করতে সভাপতি পদে আমাকে সমর্থন দিতে সকল কাউন্সিলর, নেতাকর্মীদের প্রতি আহব্বান জানাই।
মেয়র আনিসুজ্জামান ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ,তিনি ত্রিশালের রাজনৈতিক অঙ্গনের সদা সর্বদা জ্বলে থাকা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর আলো ছড়ানো জ্যোতিতে অনেকেই সঠিক পথের সন্ধান পান। নিজ দলের জন্য তাঁর সততা,নিষ্ঠা, আর প্রতিদানহীন শ্রম ভুল বার মতন নয়। সুঃসময় কি, দুঃসময় সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। দুঃসময়ের নিজে অত্যাচার আর নির্যাতনের স্বীকার হলেও কখনও নিজ কর্মীদের অত্যাচারের স্বীকার হতে দেন নি। নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে সবসময় ভেবেছেন নিজ দলের কথা। তিনি তৃণমূল থেকে ওঠে আসা এক প্রকৃত মুজিব সৈনিক। দুরন্তপনা আর দক্ষ রাজনৈতিক জ্ঞান তাকে আজ ত্রিশালের রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক, অরাজনৈতিক সংগঠন ও পৌর মেয়র হিসাবে দায়িত্বের মাধ্যমে ত্রিশালবাসীর সেবা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
ত্রিশালবাসীর প্রিয়নেতা আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস তাঁর দীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে, নিজ দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করেছেন সততা আর নিষ্ঠার সাথে। ত্রিশালের মাটি ও মানুষের জন্য, সঠিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আপামর জনগণের পাশে থেকে সংগ্রাম করে চলেছেন অবিরত। তার দক্ষ এবং কর্মীবান্ধব নীতির কারণে তিনি ত্রিশালের একজন জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।তাঁর এই স্বার্থহীন প্রতিদান তাকে বার বার নির্বাচিত করেছে। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে, তাঁর প্রতি জনগণের ভালোবাসার ধারা।
একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে তাকে উপজেলা বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিরা আছেন তাঁর চলার পথের সঙ্গী হয়ে।