স্টাফ রিপোর্টারঃ
দুর্ণীতিমুক্ত ময়মনসিংহ সদর উপজেলা গঠনের লক্ষে ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় ও ময়নসিংহ সদর উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ১৯ শে মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের অষ্টধার ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় নিয়োগকৃত ৪২১ জন অতিদরিদ্র উপকারভোগীদের মাঝে মধুমতি ডিজিটাল ব্যাংকিং ময়মনসিংহ এর মাধ্যমে চল্লিশ দিনের কর্মসূচীর প্রথম পর্যায়ের বিল ফিংগার প্রিন্টের সাহায্যে প্রদান করা হয়েছে।
সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়নে বরাদ্ধকৃত কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় হতরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্ধকৃত ৪০ দিনের এই কর্মসূচিতে হতদরিদ্রদের কাজের বিনিময়ে অর্থ এর অংশ হিসাবে ৪২১ জন হতদরিদ্র শ্রমিকদের মাঝে তাদের কর্মসুচীর কাজের মজুরির ভাতা হিসাবে চেকের মাধ্যমে এই টাকা প্রদান করা হয়।
বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ,ইউনিয়নের গরীব দুঃস্থ অসহায় মানুষের প্রিয়জন, জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি তারেক হাসান মুক্তার সার্বিক তত্বাবধানে সুষ্ঠুভাবে প্রকৃত শ্রমিকদের মাঝে এই মজুরির টাকা বিতর করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হাসান মুক্তা বলেন, আমার ইউনিয়নে হতদরিদ্র শ্রমিকরা সরকারের দেয়া কর্মসৃজন কর্মসুচী প্রকল্পে কাজ করে তার প্রাপ্য মজুরি বুঝে নিচ্ছেন। আমি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সচ্ছতার মাধ্যমে শ্রমিকের নামে মধুমতি ব্যাংক হিসাবে প্রাপ্ত টাকা বন্টনে তদারকি করছি। শ্রমিকরা জবকার্ড অনুযায়ী দিন শেষে ২০০ টাকা করে ৮ হাজার টাকা পাচ্ছে। তারা নিজেদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা বুঝে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কর্মসৃজন, কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্রদের জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। আমাদের দায়িত্ব সঠিক ব্যাক্তি ও প্রাপ্যদের নির্ধারন করে তাদের এ সহায়তার আওতায় এনে তা সঠিক বন্টন করা। এতে বর্তমান সরকারের দেশের উন্নয়নে যে ভিশন ঘোষণা দিয়েছেন তা সফল হবে।সেই সাথে সোনার বাংলা বিনির্মানে বর্তমান সরকার গ্রামকে শহরে রুপান্তরের মাধ্যমে উন্নত দেশ গড়ার যে রুপরেখা তৈরী করেছেন সেই রুপরেখা বাস্তবায়নেও সফলতা আসবে ।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্ণীতি মুক্ত উপজেলা বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান শ্রমিকদের টাকা প্রদান কর্মসূচি সম্পর্কে কয়েক দফা খোঁজ খবর নিয়ে মুজুরী বিতরণের অনুমতি দিয়েছেন। যার প্রত্যয়নের ভিত্তিতে অগ্রগতি অনুযায়ী শ্রমিক মজুরি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।
এ সময় উপজেলা প্রশাসনের প্রকল্পবাস্তবায়ন দপ্তরসহ মধুমতি ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে মুজুরী ভাতার চেক হাতে পাওয়ায় খুশীতে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসন ও চেয়ারম্যান মুক্তার প্রতি ধন্যবাদ ওকৃতজ্ঞতা জানান শ্রমিকরা।।