স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ময়মনসিংহ বাসীকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকাসহ সচেতনতা মোলক দিকনির্দেশনা জানিয়ে জেলাবাসীকে বিশেষ আহবান জানিয়েছেন ময়মনসিংহের ডিসি মিজানুর রহমান । করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার নানা ধরনের সচেতনতামলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজ করছেন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারাও। এরই মধ্যে আক্রান্ত এক ব্যাক্তির মৃত্যুতে দেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের মানুষকে সচেতন বার্তা পৌছে দিতে জোর প্রচারনা চলছে। সেই প্রচারণার অংশ হিসাবে বিভিন্ন দিক- নির্দেশনা দিয়ে
সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন-বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার সকল ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আল্লাহর রহমত আমাদের সকলের সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে আমাদেকে রক্ষা করতে। সে লক্ষ্যে তিনি ময়মনসিংহ বাসীকে নিম্নলিখিত অনুরোধসমূহ মেনে চলার জন্য আপনাদের সকলকে অনুরোধ করেছেন-
* সকল ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত বন্ধ থাকবে।
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার ও বাড়িতে শিক্ষক দ্বারা ব্যাচে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়িতে অবস্থান করবে।
* সকল ধরনের বিনোদন পার্ক ও পর্যটন কেন্দ্র সমূহ বন্ধ থাকবে।
*গত এক মাসের মধ্যে কেউ বিদেশ থেকে এসে থাকলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন তথা বাড়ির একটি পৃথক কক্ষে থাকতে হবে।
* হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির পরিবারের সদস্যগণ মসজিদে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকবেন।
* কারো জ্বর হাঁচি কাশি ইত্যাদি থাকলে মসজিদে নামাজ পড়া থেকে বিরত থেকে নিজ বাড়িতে নামাজ পড়বেন, একইসাথে মন্দির/গির্জা ইত্যাদিতে সমবেত প্রার্থনা করা থেকে বিরত থাকবেন।
* কেউ জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
* পরিচিত-অপরিচিতর সাথে হ্যান্ডশেফ করা থেকে বিরত থাকুন এবং হাঁচি-কাশিতে রুমাল, টিস্যু অথবা হাতের কনুই ব্যবহার করুন।
* ঘনঘন সাবান-পানিতে হাত ধৌত করুন।
* বাহির হতে বাসায় প্রবেশের সময় হাতমুখ ধুয়ে প্রবেশকরাসহ অন্যান্য সাবধানতা অবলম্বন করুন।
* ভীড় বা গণজমায়েত এড়িয়ে চলুন।
তিনি সকলকে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানিয়ে জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন-বাংলাদেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতব্যক্তি প্রবাস ফেরত আরেক ব্যক্তির মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রবাস ফেরতরা ন্যূনতম ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এটি সরকারি নির্দেশনা। কোন প্রবাসী এই নির্দেশনা না মানলে তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনকে, নিকটস্থ থানা পুলিশকে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করুন। অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মনে রাখবেন, আইনগত ব্যবস্থা নিলে নির্দেশনা অমান্যকারী শাস্তি পাবেন ঠিকই কিন্তু করোনার ঝুঁকি হ্রাস পাবে না। কাজেই সময় থাকতে সচেতন হওয়া জরুরি। আপনি সুস্থ থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে