ওমর ফারুক,টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফে মায়ানমার থেকে নাফনদী পার হয়ে বাংলাদেশে মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশকরার সময় বিজিবি জওয়ানদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক মাদক ব্যবসাহি নিহত হয়েছে।
এসময় বিজিবির তিন জওয়ান আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে ইয়াবা, অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র জানায় , ১২ জুলাই রাতের পৌনে ৫ টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ একটি টহল দল দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা কেয়ারী ঘাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহলে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে সন্দেহভাজন ২জন মানুষের আনা-গোনা চুখে পরে। বিজিবি জওয়ানেরা সর্তক অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি নাফনদী সাতাঁর কেটে কিনারায় এলে সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদ্বয় তার নিকট গেলে বিজিবি জওয়ানেরা তাদের চ্যালেঞ্জ করামাত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিজিবি জওয়ানেরা তাদেও ধাওয়া করলে তারা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়।
তখন বিজিবি সদস্যরা সরকারী সম্পদ ও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দু’পক্ষের মধ্যে ৪/৫ মিনিট গোলাগুলির ঘটনার পর হামলাকারীরা খাল দিয়ে পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৪০হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী এলজি ও ১রাউন্ড তাঁজা কার্তুজসহ নাইট্যং পাড়ার রোহিঙ্গা ছৈয়দ আহমদের পুত্র ছৈয়দ আলম (৩৫) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
তাকে আহত বিজিবি জওয়ানদ্বয় এবং গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আহত বিজিবি জওয়ানদের চিকিৎসা দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারী গ্রুপের সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।