নেপাল ধর: র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার সহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র্যাব -১৪ এর এক দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জঙ্গী নির্মূল, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং মাদক সংক্রান্ত অপরাধ সহ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের মত অপরাধীর বিরুদ্ধে র্যাব ফোর্সেস অন্তত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আস্তে বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব -১৪ব্যাটা: সদর ময়মনসিংহ এর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, কতিপয় চোরাকারবারি ভারতীয় তৈরি বিভিন্ন পণ্য সহ নেত্রকোনা-নারায়ণগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাস যোগে নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব -১৪এর একটি অভিযানিক দল ৪সেপ্টেম্বর রাত ১ঘটিকা সময় ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানাধীন নেত্রকোনা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের শম্ভুগঞ্জ গোলচত্তর ইউনিয়ন পরিষদ মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে বিভিন্ন যাত্রীবাহীবাস তল্লাসি করতে থাকেন। তল্লাশিকালে অনুমান দুই ঘটিকার সময় পূর্বে সংবাদ প্রাপ্ত সন্দিগ্ধ ঢাকা মেট্রো ব-১১-৫৫৮৯ যাত্রীবাহী যশোদা পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি চৌকি নিকট আসার পর উক্ত বাসের চালক কে বাসটি থামানোর সংকেত দিলে তিনি বাসটির চেকপোস্টের নিকট থামালে র্যাব -১৪ এর অভিযানিক দল গাড়িটি তল্লাশিকালে র্যাবের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে চোরাকারবারি মোঃ হুমায়ুন কবির (স্থায়ী ঠিকানা-সাতরা পাড়া, পোষ্ট কড়ই হাটি, থানা চাটখিল জেলা-নোয়াখালী) এবং কিশোরগঞ্জ থানা লতিফপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আসামি চোরাকারবারি জুনায়েদ কে হাতেনাতে আটক করা হয়। ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদকালে তাদের দেখানো মতে বর্ণিত গাড়ির ভেতরে পিছনে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য হরলিক্স, কোলগেইট টুথপেস্ট, পন্ডস ফেস পাউডার ইত্যাদি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। ধৃত আসামীদ্বয় অবৈধভাবে চোরাইপথে ভারতীয় পণ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ এনে নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয় করায় ১৯৭৪সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫খ (1) (খ) ধারা অপরাধ করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে চোরাই পথে ভারতীয় পণ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে এনে নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয় করে আসছিল বলে স্বীকার করেন। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় পণ্য আমদানি এর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া দিন।
