মোঃ আরিফ রববানী :
আগামী ত্রোয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা জেলার সংসদীয় আসন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে প্রার্থী হিসেবে দোয়া ও সামর্থন চাইলেন উপজেলার ভূগী গ্রামের ভবের বাজার এলাকার মাওলানা মোঃ আব্দুস সালাম এর সন্তান তরুণ সমাজসেবক ও বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মিজানুর রহমান। তার উপনাম মিজানুর রহমান ভূগী। কামিল,ফার্স্ট ক্লাস (তাফসির বিভাগ) এ উত্তীর্ণ এই সমাজ সেবক বর্তমানে গাজীপুর জেলায় একটি মাদ্রাসার পরিচালক
পাশাপাশি সাংবাদিকতায় পেশায় নিয়োজিত থেকে মানবসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করছেন। তিনি বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি,কেন্দ্রীয় কমিটির
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মূলত অতীতের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে সাধারণ মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে দূরত্বের কারনে তাদের পাশে থাকার সুযোগটা কাজে লাগাতে চান। তবে তার এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তৃণমূলের জনগোষ্ঠী ভোটারদেসমর্থন পেয়েই সফল হতে চান। পুর্বধলা উপজেলার জনগণের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনগণের পাশে থেকে সেবা করতে চান।
তরুণ আলেম মাওলানা মিজানুর রহমান দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্না সঙ্গে নিয়ে দলমত নির্বিশেষে এগিয়ে চলেছেন দুর্বার। সাধারণ মানুষের ভালবাসা ও দোয়া নিয়ে সর্বদাই অগ্রসর তিনি।তিনি পরিশ্রমী, পরোপকারী, উদ্দোমী যুবক, বিশিষ্ট আলেম ও সমাজসেবক। যাকে একজন আলেম হিসাবে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ চিনে এবং জানে।
এব্যাপারে তিনি জানান, পুর্বধলা উপজেলার জনগণের দোয়া ও সমর্থন নিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। আমার পরিবারের কাছ থেকে শিখে নিয়েছি মানুষের সেবা কি ভাবে করতে হবে। আপনাদের সামর্থন থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হয়ে সেবা করতে চাই।
ইতিপূর্বে আমি সব সময় মানবসেবায় আপদে বিপদে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার। কোনো নেতা হতে নয় মানুষের সেবক হতে চাই। আশা করি আমাদের এলাকার জনগণ আমাকে শূন্যহাতে ফিরিয়ে দিবেন না। আমার বিশ্বাস আমাকে জনগণ সামর্থন দিবেন। কথা দিচ্ছি আপনাদের পাশে আছি আমৃত আপনাদের পাশে থাকতে চাই। এ সময় মিজানুর রহমান ভূগী সবার দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে আরও বলেন, সেবা ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানুুষের মনে স্থান পেতে চাই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের মতামত ও সহযোগিতা নিয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করব। বৈষম্য নয়, জনকল্যানে হবে কাজ। কোনো এলাকাকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে না। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কাজটা আগে হবে।
তার মতে স্থানীয় সরকারের একজন জনপ্রতিনিধির চেয়ে সংসদ সদস্যের দায়বন্ধতা অনেক বেশি। অবশ্য চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে জনপ্রতিনিধিদেরকে কাছে পায় স্থানীয়রা। তবে এমপি জাতীয় সংসদ থেকে বরাদ্দ করতে না পারলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জনগণকে দিবে কোথা থেকে এমন প্রশ্নও রেখেছেন তিনি
তিনি বিশ্বাস করেন সেবা ও উন্নয়নের মধ্যদিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারলে,জনগণ চাইলে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।