আব্দুল লতিফ গৌরীপুর প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মোঃ জামাল (৩৬) নামে স্থানীয় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিনগত রাতে পৌর শহরের পূর্বদাপুনিয়া এলাকায় ওই যুবককে কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
হ্যান্ডট্রলি চালক নিহত জামাল পৌর শহরের কলাবাগান এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন।
এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গৌরীপুর থানার পুলিশ শনিবার সকালে শরীফ হোসেন ও তার ছেলে সজীব মিয়া ও সহযোগী কাজী রাহাত মামুন নামে স্থানীয় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুল হাসান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- পূর্বদাপুনিয়া এলাকার শরীফ হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে জামালের পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল। এর জের ধরে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে ঘটনার দিন রাতে শরীফের নিজ বাড়িতে জামালকে কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম করা হয়। পরদিন ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় ভাই স্বপন মিয়া জানান- ঘটনার দিনগত রাত ১২ টার দিকে শরীফ মোবাইলে কল করে জামালকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে শরীফের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। রাত ৩ টার দিকে মারাত্বক আহত অবস্থায় সে বাড়িতে আসে। এসময় শরীফ ও সজীব তাকে কুপিয়েছে এই বলে জামাল জ্ঞান হারায়।
স্বপন মিয়া আরও জানান- শরীফের স্ত্রীর সঙ্গে জামালের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলনা। পাওনা টাকা আনার জন্য শরীফের মোবাইল কল পেয়ে সরল বিশ্বাসে ঘটনারদিন রাতে ঘর থেকে বের হয়েছিল জামাল।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুল হাসান জানান- এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্বদাপুনিয়া এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শরীফ হোসেন এবং তার ছেলে সজীব মিয়া ও সহযোগী কাজী রাহাত মামুন নামে স্থানীয় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
তিনি আরও জানান- প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শরীফের স্ত্রী পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।