স্টাফ রিপোর্টারঃ
জুড়ী উপজেলার সাগরনালে উন্মাদ হাতির আক্রমণে প্রাণ হারালেন হাতির মাহুত
জুড়ী উপজেলায় উন্মাদ হাতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে সেই উন্মাদ হাতির আক্রমণে এক মাহুতের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল ৫টায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের বাঁশমহালের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজারে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
নিহত মাহুতের নাম গোলাম মোস্তফা (৪৫)।
তিনি জয়পুরহাটের বাসিন্দা মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। এর আগে চলতি বছরের ৭ মে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের চুঙ্গাবাড়ী এলাকায় উন্মাদ হাতি আনতে গিয়ে কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্টিউলি গ্রামের মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (৪০) নামের এক মাহুতের মৃত্যু হয়। সেই হাতিটিরও মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক।
জানা যায়, কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিকের মালিকানাধীন কয়েকটি হাতি রয়েছে।
হাতিগুলো হারারগজ ও সাগরনাল পাহাড়ে বিচরণ করে। এর মধ্যে এই উন্মাদ হাতিটি এক মাস ধরে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আজ সোমবার বিকেলে মাহুত গোলাম মোস্তফাসহ আরো পাঁচ-ছয়জন মাহুত উন্মাদ হাতিটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাগরনাল বিটের বাঁশমহালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় উন্মাদ হাতিটি মাহুত গোলাম মোস্তফাকে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
সাগরনাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রদীপ যাদব বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে এই উন্মাদ হাতিটি পাহাড়ের ভেতর থেকে লোকালয়ে এসে অনেক কৃষকের ফসলাদি নষ্ট করেছে। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনে হাতির মালিককে অবগত করি।’
হাতির মালিক ও কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক বলেন, ‘মাহুত গোলাম মোস্তফা দীর্ঘ ৮-১০ বছর থেকে আমার মালিকানাধীন হাতির মাহুত (পরিচালক) হিসেবে কাজ করছেন। সোমবার তিনিসহ ছয়জন মাহুত হাতি আনতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় হাতির আক্রমণে মাহুত মারা যান। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
জুড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে হাতির মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছে।