স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৫ মে ২৩ইং দুপুরে জুমার নামাজ পর খাজাবাগ দরবার শরীফ জামে মসজিদ থেকে হযরত মুজাদ্দিদ আল ফেসানী রঃ শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বর্তমান জামানার মহান মুজাদ্দেদ খাজায়েনে রহমত গাউছুল আযম হযরত খাজা বাবা আলহাজ্ব আল্লামা রেজাউল হক (রেজা শাহ্ ) খাজাবাগী জামালপুরী পীর সাহেব হুজুর পাক।
ঈসায়ী ১৫৬১ খৃষ্টাব্দ, মুতাবিক ৯৭১ হিজরীর ১৪ই শাওয়াল, শুক্রবার দিনগত রাতে ইমামে-রাব্বানী, মুজাদ্দিদে আলফে সানি শায়খ আহমদ ফারুকী সিরহিন্দী (রহ:) শুভ আগমন করেন। তাঁর কুনিয়াত ছিল- আবুল বারাকাত, লকব ছিল-বদরুদ্দিন এবং তিনি প্রথম কাইউমরূপে পরিচিত,
বাদশাহ জাহাঙ্গীরকে একবার কেউ জাগ্রত অবস্থায় তার সিংহাসন থেকে তুলে ফেলে দিয়েছে। এতে সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অসুস্থ থাকলো । চিকিৎসা করা হল কিন্তু কোন ফল হল না। অবশেষে একদিন স্বপ্নে সে সাক্ষাৎ লাভ করলো রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’তিনি তাকে সম্বোধন করে ধমকের স্বরে এরশাদ করেন, “হে জাহাঙ্গীর! তুমি মুজাদ্দেদে ইসলাম এবং এ যুগের ইমামকে কষ্ট দিয়েছ। এই রোগ সে কারনেই হয়েছে। যদি কল্যাণ চাও তবে তার নিকট দোয়া লও।”
জাহাঙ্গীর জাগ্রত হয়েই হযরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী (রাঃ)’কে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিল এবং তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে সাক্ষাতের আরজী পেশ করে চিঠি লিখল।
হযরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী (রাঃ) মোলাকাতের জন্যে কয়েকটি শর্ত আরোপকরলেন যা জাহাঙ্গীর মেনে নিল। অতঃপর তিনি গোয়ালিয়রের কারাগার থেকে বিদায় নিলেন।
রাজপুত্র শাহজাহান এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্বর্ধনার জন্যে উপস্থিত হয়। তিনি শাহী মহলে তাশরীফ নেন এবং দোয়া শুরু করেন, আর বাধশাহকে আদেশ দেন, “তুমি তোমার পাপাচারের জন্য তওবা করে আল্লাহ্ তা’আলার দরবারে ক্রন্দন করতে থাকো।” ফলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বাদশাহ সুস্থ হয়ে উঠলো।
সে হযরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী (রাঃ)’এর কদমে পড়ে রইলো এবং তাঁর মুরিদদের অন্তর্ভুক্ত হল,তাঁর দরবারে সেজদা প্রথা সহ যাবতীয় মন্দ কাজ বন্ধ করে দিল। সম্রাট আকবরের চালু করা দীন ই ইলাহি খতম হল, ভারতবর্ষে প্রায় মৃত্য ইসলাম জিন্দা হল , হযরত শেখ আহমদ সেরহেন্দি রঃ নাম মুজাদ্দেদ আলফেসানী রঃ নামে বিশ্বময় ছরিয়ে পড়ল, অর্থাৎ দ্বিতীয় হাজার বছরের ইসলাম ধর্মের মহান সংস্কারক।
একবার হযরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী (রাঃ) তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বলেছিলেন, “ ইন শা আল্লাহ্ জাহাঙ্গীরকে আমার সাথে জান্নাতে নিয়ে যাবো।” – [সীরাতে ইমামে রাব্বানী,পৃষ্ঠাঃ১৩১-১৩২]