এস এম হোসেন আলী: ময়মনসিংহের কিংবদন্তি একুশে পদক প্রাপ্ত, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক, ৫ বারের জাতীয় সংসদ সদস্য এম শামছুল হক এমপি’র ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ২৭ মে ২০২৩ ইং শনিবার বিকালে তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ মাঠে তার কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তপক অর্পন ও রুহের আত্তার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তার সুযোগ্য সন্তান গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত, তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল খায়ের, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ। পরে বিকাল ৫টার দিকে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের হল রুমে ভাষা সৈনিক এম শামছুল হকে’র রুহের আত্তার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাজ্জাদুল হাসান, ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, তদন্ত ওসি, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ ।
উল্লেখ্য, ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শামসুল হক ২৯ জানুয়ারী ১৯৩০ সালে তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালে আনন্দ মোহন কলেজে ইন্টারমিডিয়েট অধ্যয়নরত অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য কারাবরণ।মুক্তির পরে ময়মনসিংহ ১ম শহীদ মিনার স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনের প্রাদের্শিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং মহান মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নকারী গণপরিষদের সদস্য হিসাবে বাহাত্তোর সংবিধানে স্বাক্ষর করেন ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্হ একজন রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি।
১ম জাতীয় সংসদ ৭ই এপ্রিল ১৯৭৩- ৬ নভেম্বর ১৯৭৫, ৩য় জাতীয় সংসদ ১০ জুলাই ১৯৮৬- ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭, ৫ম জাতীয় সংসদ ৫ই মার্চ ১৯৯১- ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫, ৭ম জাতীয় সংসদ ১৪ জুলাই ১৯৯৬- ১৩ জুলাই ২০০১, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ১৯৮৮ সালে ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২৭ মে ২০০৪ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।২০২১ সালে একুশে পদক (ভাষা আন্দোলন) প্রাপ্তি। সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখা হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।