প্রতিদিনের তথ্য. কম ডেস্ক : জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের পেইজে লেখেন, গত ১৫ ই মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী নায়ক ফারুক আমাদের সকল কে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো! এই নিউজটি শুনে গত দুইদিন আমি থমকে ছিলাম! ভাবছিলাম কি বলবো কারণ ঘটনাটি মেনে নিতে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো! এইতো কিছুদিন আগে মনে হচ্ছে সেদিন দেখা হলো উনার সাথে আমার! আমি তাকে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম যখন উনি ইলেকশনে জয়ী হলেন! উনি আমার মাথায় হাত দিয়ে অনেক দুয়া দিলেন আর বললেন “তুই সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল” টি খুলে সমাজের জন্যে অনেক ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছিস! আমি অতি শিঘ্রই তোর স্কুল ভিজিট করতে যাবো! উনার আর ভিজিট করা হলো না!
তার সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না! উনাকে বাইরে থেকে অনেকেই গম্ভীর মনে করতে পারে কিন্তু আসলে উনি তা নয়! আমার সাথে উনার প্রথম দিনের শুটিং এর ঘটনাটি ছিল ভীষণ মজার! আমি ভীষণ ইতস্তত বোধ করছিলাম উনার সাথে কথা বলতে! তারপর উনার সাথে কথা বলে বুঝলাম উনি আসলে ভীষণ মজার একটি মানুষ! উনি খুব আদর করতেন আমাকে!
আমার ভীষণ সৌভাগ্য হয়েছিলো ঐ সময় ফারুক সাহেবের সাদাকালো দুইটা ছবির কাজ করার “রঙিন নয়ন মণি” ও “রঙিন সুজন সখী”! এজন্যে আমি আমাদের লিজেন্ডারি পরিচালক শাহ আলম কিরণ ও মতিন রহমানের কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ! ফারুক ভাইয়া আমার দুটি ছবি দেখেই ভীষণ প্রশংসা করেছিলো! উনি বলেছিলো উনি এখন সুজন কিংবা নয়ন হতে পারলে আমাকেই সখী /মনি বানাতো!
একটা খারাপ লাগার বিষয় হলো যে সাদাকালো ও রঙিন সুজন সখীর মধ্যে ফারুক ভাইয়া,কবরী আপা,সালমান শাহ উনারা কেউই পৃথিবীতে নেই! এই ব্যাপার টা ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়! কিন্তু উনারা সকলেই আমাদের মনে সারাজীবন বেঁচে থাকবেন! কারণ মানুষের কখনো মরণ হয়না শুধু জায়গা বদল হয়!